ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৪ মে ২০২৪

আক্রান্তে ইরানকে ছাড়িয়ে তুরস্ক, মৃত্যু ১৮৯০ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫২, ১৯ এপ্রিল ২০২০

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার দাপট দেখছে এবার এশিয়া-ইউরোপের মধ্যঞ্চলীয় দেশ তুরস্ক। আক্রান্তের দিক থেকে দেশটি এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানকেও ছাপিয়ে গেছে। 

বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনাক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা ৮২ হাজার ৩২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯০ জনের। যদিও, সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষ। 

করোনার প্রকোপ ঠেকাতে যেখানে ইউরোপ, আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো লকডাউনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে, সেখানে ভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটি। 

গত ১০ এপ্রিল দেশটিতে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। ২০ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 

বাকি নাগরিকদের কাজে বের হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে একদিকে অর্থনীতি চাঙ্গা থাকছে, অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব হচ্ছে। তুরস্কের এ পন্থাকে অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ স্বাগত জানিয়েছেন। খবর সিএনএনের।

চলমান অবস্থায় তুরস্কে এখনো অনেক দোকানপাট খোলা রয়েছে। তবে, বন্ধ রয়েছে পার্কের মতো জনসমাগমস্থলগুলো। কর্মঘণ্টা সীমিত করা হয়েছে ব্যাংকগুলোতে। আর জনসাধারণকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। প্রশাসন। 

পাশাপাশি, করোনা মোকাবিলায় পুরুষদের জন্য বাধ্যতামূলক সেনা প্রশিক্ষণ এক মাস বৃদ্ধি করেছে দেশটির সরকার। 
এ নিয়ে সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকার। 

বৈঠক শেষে তিনি জানান, ‘এখন থেকে তুরস্কের সকল পুরুষদের জন্য বাধ্যতামূলক সেনা প্রশিক্ষণ এক মাস বৃদ্ধি করা হল।’ তুরস্কের আইন অনুযায়ী, দেশটির সকল পুরুষকে বাধ্যতামূলক ৬ মাস সেনা প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এর আগে এটি ১২ মাস ছিল।

কিন্তু গত বছর এক সংশোধনির মাধ্যমে একে ৬ মাসে নিয়ে আসে এরদোগান সরকার। এবার এই ৬ মাসের সঙ্গে আরো একমাস বৃদ্ধি করা হল।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর দীর্ঘ দিন করোনা থেকে মুক্ত ছিল তুরস্ক। গত ১১ মার্চ দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায়। এরপর থেকে ভাইরাসটির উপদ্রুপ বাড়তে থাকে। প্রতিদিনই অন্তত ৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রাণ হারাচ্ছেন দুইশ জনের বেশি। 

এদিকে, সারা বিশ্বের ২১১টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার থাবায় ১ লাখ প্রায় ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত প্রায় ২৩ লাখ। আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ছয় লাখের বেশি মানুষ। 

এআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি